আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসন ফাঁকা রেখেছে বিএনপি (BNP)। সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) এই তালিকা প্রকাশ করেন।
তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিশেষ করে ঢাকার সাতটি আসনসহ দেশের অন্তত ১০টির বেশি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, এসব আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর জন্য।
যেসব আসনে শরিকদের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
– ঢাকা মহানগর:**
  – মাহমুদুর রহমান মান্না (Mahmudur Rahman Manna), নাগরিক ঐক্যের সভাপতি—ঢাকার একটি আসনে প্রার্থী হতে পারেন।
  – আন্দালিব রহমান পার্থ (Andaleeve Rahman Partha), বিজেপি চেয়ারম্যান—ঢাকা-১৭
  – ববি হাজ্জাজ (Bobby Hajjaj), এনডিএম চেয়ারম্যান—ঢাকা-১৩
- চট্টগ্রাম বিভাগ:
 - 
অলি আহমদ (Col. (retd.) Oli Ahmed), এলডিপি চেয়ারম্যান—চট্টগ্রাম-১৪
 - 
কুমিল্লা অঞ্চল:
 - 
ড. রেদোয়ান আহমেদ, এলডিপির মহাসচিব—কুমিল্লা-৭
 - 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ:
 - জোনায়েদ সাকি (Zonayed Saki), গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী—ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬
 - 
সৈয়দ এহসানুল হুদা (Syed Ehsanul Huda), বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক—কিশোরগঞ্জ-৫
 - 
দক্ষিণাঞ্চল:
 - নুরুল হক নূর (Nurul Haque Nur), গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি—পটুয়াখালী-৩
 - 
রাশেদ খান (Rashed Khan), গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক—ঝিনাইদহ-২
 - 
লক্ষ্মীপুর:
 - আ স ম আবদুর রব (ASM Abdur Rob), জেএসডি সভাপতি—লক্ষ্মীপুর-৪
 
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এই কৌশল শরিকদের সম্মানজনক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ‘ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট’-এর বার্তা দেওয়ার একটি রূপ।
দলটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা জানিয়েছেন, যে ৬৩ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোতেই যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়া হবে।
তবে এই আসন বণ্টন নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কোনো অসন্তোষ তৈরি হয় কি না, সেটি এখন দেখার বিষয়। কেননা কিছু এলাকায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আগেই প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।


