জোট গঠন করলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে—এমন বিধান বহাল রেখে অবশেষে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। সোমবার (৩ নভেম্বর) এই অধ্যাদেশ প্রকাশ করা হয়, যার মধ্য দিয়ে নির্বাচন পদ্ধতির এক গুরুত্বপূর্ণ দিক পুনরায় নিশ্চিত করা হলো।
এর আগে ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সংশোধনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন পায়। কিন্তু এই প্রস্তাব ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় বিতর্ক।
বিএনপি স্পষ্টভাবে এই ধারার বিরোধিতা করে। দলটি নির্বাচন কমিশন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিতভাবে জানায়, জোট করে নির্বাচনে অংশ নিলে সমন্বিত প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ থাকতে হবে। তাদের দাবি, এতে নির্বাচনী লড়াই আরও সমন্বিত ও সংগঠিত হয়।
এই আপত্তির প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে ধারাটি বাদ দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়েছিল। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও তখন জানানো হয়, এটি সংশোধনের চিন্তা করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে শেষ মুহূর্তে এসে সেই আপত্তি আমলে নেওয়া হয়নি।
বরং বিপরীতভাবে, জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রকাশ্যে এই সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নেয়। তারা মনে করে, দলীয় প্রতীক ব্যবহার করাই রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাতন্ত্র্য ও পরিচয় বজায় রাখে।
সব পক্ষের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত সরকার আরপিও সংশোধনে আগের মতোই সেই বিধান রেখে অধ্যাদেশটি জারি করে।
এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজেদের নির্ধারিত প্রতীকেই প্রার্থী দিতে বাধ্য থাকবে।


