রাজশাহীর রাজপাড়া থানার আলিগঞ্জ এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী মো. শান্তকে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি জমি–সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এ নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত শান্ত ওই এলাকার সাত্তার আলীর ছেলে এবং স্থানীয়দের কাছে পরিচিত মুখ ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে সেদিন সন্ধ্যায় শান্তের সঙ্গে একই এলাকার কয়েকজনের তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে শান্তর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক (Abdul Malek) বলেন, পুরোনো জমি-বিবাদ থেকেই এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হওয়ার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। শান্তর মামা ডালিমের সঙ্গে প্রতিবেশী রিপন, নয়ন, রুবেল এবং মঞ্জুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। ওসির ভাষায়, “মূলত এই বিরোধের জেরেই শান্ত খুন হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে আমরা বিষয়টি গভীরভাবে অনুসন্ধান করছি এবং প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।”
ঘটনার পরপরই স্থানীয় জামায়াত নেতারা দাবি তুলেছেন যে কেবল জমি-বিরোধ নয়, সুদের টাকার প্রতিবাদ করায় শান্তকে হত্যা করা হয়েছে। রাজপাড়া থানার জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান জানান, “সুদের টাকা নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাকে খুন করা হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাটি খুবই ন্যক্কারজনক। আমরা দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
এদিকে রাজশাহী নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার (Jasim Uddin Sarkar) রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন, বসুয়া গ্রামের নয়ন এবং তার সহযোগীরা ঋণের সুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় শান্তকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
বার্তা বাজার/এমএমএইচ


