আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নিলেও স্বস্ব দলীয় প্রতীকে ভোট করার বাধ্যবাধকতা নিয়ে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছে, সেই রুলে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir)। তাঁর আবেদনে বিএনপির জোটসঙ্গীদের ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন দাখিল করা হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আবেদনটি আগামীকাল শুনানির তালিকায় আসতে পারে।
এর আগে ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জানতে চান, জোটবদ্ধ নির্বাচন হলেও স্বস্ব দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে ১০ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। রিট আবেদনের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার রেশাদ ইমাম, ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম ও ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম মূসার নেতৃত্বে এনডিএম (NDM) ও এনসিপির আইনজীবীরা রুলের বিরোধিতা করেন।
গত ২৭ নভেম্বর জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিলেও নিজেদের দলীয় প্রতীকেই ভোট করতে হবে— এমন বিধান সংবলিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর মহাসচিব মোমিনুল আমিন এ রিট করেন। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। এখানে আরপিওর সংশ্লিষ্ট ধারাটি বাতিল করার আবেদন জানানো হয়।
এর আগে ৩ নভেম্বর সরকার আরপিও সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করে, যেখানে বলা হয়— নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলে তাদের ভোট করতে হবে নিজ নিজ প্রতীকে। অথচ একসময় জোটভুক্ত দলগুলো জোটসঙ্গী যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধনের খসড়াটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ অবস্থায় বিএনপি এবার আদালতের কাছে জোটসঙ্গীদের ঐতিহ্যগত ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পুনর্বহালের আবেদন করেছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


