আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে লজ্জায় গ্রাম ছেড়ে পালালেন জামায়াত নেতা

লক্ষ্মীপুরের (Lakshmipur) রায়পুর উপজেলার (Raipur) ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়নের পুরান বেড়ি গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন স্থানীয়ভাবে পরিচিত জামায়াতের (জামায়াত) যুব সমাজ সংগঠনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বাদশা। খবরটি মুহূর্তেই গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ক্ষোভ, সমালোচনা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি তার জন্য বিব্রতকর হয়ে ওঠায় কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতের অন্ধকারেই গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন—তাকে কেউ তাড়িয়ে দেয়নি; বরং নিজ সিদ্ধান্তেই তিনি পালিয়ে গেছেন।

পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় এলাকার গ্রামবাসী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল ঘটনাটির ব্যাখ্যা শোনা ও সামাজিকভাবে সমাধানের পথ বের করা। তবে বাদশা সেখানে হাজির না হওয়ায় আলোচনা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই স্থগিত হয়ে যায়। তার উপস্থিতি ছাড়া বিষয়টির নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি বলে জানান অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এক সপ্তাহ পর পুনরায় সালিশ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে ২ নম্বর ইউনিয়নের উত্তর চরবংশী জামায়াতের আমির গাজী ইমরান বলেন, তিনি ওয়ার্ডের সভাপতির সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটি যাচাই করেছেন। তার দাবি, বিষয়টি অনেকটাই অতিরঞ্জিত এবং দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উপাদানও রয়েছে। তবে বাদশা যে যুব সমাজ সংগঠনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক—সেটি সত্য বলে তিনি স্বীকার করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাদশার আচরণ নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই তার নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতের ঘটনা সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করছেন তারা। তাদের মতে, একটি সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তির এমন আচরণ পুরো এলাকা ও সংগঠনের জন্য লজ্জাজনক।

বাদশার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমনকি তিনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন, তা নিয়েও কেউ নিশ্চিত হতে পারেননি। প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, গ্রামের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা ও ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *