ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষিত, প্রচারণায় সময় মিলবে ২০ দিন

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের পূর্ণাঙ্গ তফসিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন—এক ঘোষণায় যা আগামী কয়েক মাসের রাজনৈতিক উত্তাপ, আলোচনার কেন্দ্র ও নির্বাচনি প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা স্পষ্ট করে দিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে, আর এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার জন্য মোট ২০ দিনের সময় পাবেন।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
এএমএম নাসির উদ্দিন (AMM Nasir Uddin)। তার এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সম্প্রচার করা হয়, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে, আর সেই মুহূর্ত থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে নির্বাচনি প্রচারণা। প্রচারণা চালানোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত, অর্থাৎ আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

নিজের ঘোষণায় সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন জানান, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দেশের ৩০০ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং একই দিনে আয়োজন করা হবে গণভোট। মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর, আর মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার শেষ তারিখ ১২ জানুয়ারি, এবং ওই আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, আর পরদিন ২১ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা এবং একই দিনে প্রতীক বরাদ্দও সম্পন্ন হবে।

নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *