এদেশে যারা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে, তাদেরও নিরাপদ থাকতে দেওয়া যাবে না—এমন কড়া বক্তব্য দিয়েছেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, “আমরা যদি নিরাপদ না থাকি, তাহলে এদেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না। এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।”
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সর্বদলীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ও’\স’\মা’\ন হা’\দির ওপর হা’\মলার প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মাহফুজ আলম অভিযোগ করে বলেন, “ভারতীয় আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক অঙ্গন, বুদ্ধিজীবী মহল ও আইন অঙ্গনের একটি অংশকে কব্জা করা হয়েছে। এদের একটি অংশ নিজেদের স্বার্থে দেশবিরোধী ভূমিকা পালন করছে।”
তিনি বলেন, “একটি অংশ নিজেদের বিবেক ও চিন্তা বিক্রি করে দিয়েছে, আরেকটি অংশ সচেতনভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করেও দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।”
এসব ব্যক্তিকে ভিনদেশি ‘এসেট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মাহফুজ আলম বলেন, “এই ভিনদেশি এসেটদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ও’\স’\মা’\ন হা’\দি। ও’\স’\মা’\ন হা’\দি বাংলাদেশের সম্পদ হলেও বিদেশি স্বার্থরক্ষাকারীরা তাকে হ’\ত্যা করার জন্য নানা যুক্তি দাঁড় করিয়েছে।”
ও’\স’\মা’\ন হা’\দিকে যখন গু’\লি’\বি’\দ্ধ করে হ’\ত্যা’\চেষ্টা করা হয়, তখন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একটি বড় অংশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “তাকে আক্রমণ করার সময় কেউ কথা বলেনি, কেউ প্রতিবাদ করেনি। কোনো শব্দ নেই, কোনো কথা নেই। সবাই যেন আমাদের সঙ্গে নাটক করছে।” এই নীরবতাকেও তিনি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেন।
৫ আগস্টের পরের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, “মুজিববাদী আওয়ামী লীগ স’\ন্ত্রা’\সীদের যখন বাড়িঘর চোরমারের ক্ষমতা ছিল, তখন আমরা সংবরণ করেছি। যদি ক্ষমা করে ভুল করে থাকি, আর ক্ষমা করব না।”
ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বলেন, “যদি এদেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, মুক্তির লড়াইও বাইরে যাবে। সামনে খুবই সংকটময় সময়। আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরা কিন্তু লাশ নেব। অত সুশীলতা করে লাভ নেই। অনেক ধৈর্য্য হয়েছে, অনেক রিকনসিলিয়েশনের কথা হয়েছে।”


