ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ও’\স’\মা’\ন হা’\দির ওপর গু’\লি’\চালনার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে যাদের শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে হা’\দিরই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া আরও একজনের পরিচয় মিলেছে। গোল চিহ্নিত সেই ব্যক্তি হচ্ছেন জাকির হোসেন ওরফে ‘জিন জাকির’। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ডাকাতির মামলা, এমনকি তিনি কারাবাসের পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তও হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছে দ্য ডিসেন্ট।
১৩ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের নেত্রী ফাতিমা তাসমিন ঝুমা (Fatima Tasmin Jhuma) তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ছবি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনজন ব্যক্তিকে গোল চিহ্নিত করে তাদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানানো হয়। ইতিমধ্যে ওই ছবির গোল চিহ্নিত দুইজন—ফয়সাল করিম মাসুদ (মূল সন্দেহভাজন গু’\লি’\কা’\রী) ও বাইকচালক আলমগীর হোসেন—এর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
তাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা চাপ-দাঁড়ি মুখের ব্যক্তিটি হচ্ছেন জাকির হোসেন ওরফে জিন জাকির। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের শৌলমারীতে হলেও বর্তমানে তিনি রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বসবাস করেন।
অতীত অপরাধ ও মামলার ইতিহাস
জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে ডাকাতির গুরুতর অভিযোগ। ২০২৪ সালের ১২ অক্টোবর মোহাম্মদপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর একই বছরের ২৭ অক্টোবর গাবতলী থানায় আরও একটি ডাকাতির মামলায় তার নাম উঠে আসে, যা ঘটেছিল ৬ অক্টোবর। মামলার এজাহার মতে, ঘটনাটি ঘটেছিল মাসের শুরুতে, কিন্তু মামলা দায়ের করতে সময় লেগেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ফেসবুক পেইজে ১৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত একটি পোস্টে জানানো হয়, মোহাম্মদপুরের ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। তারা হল:
১। শরীফুল ইসলাম তুষার (৩৫),
২। জাকির হোসেন ওরফে জিন জাকির (৩৭),
৩। মো. মাসুদুর রহমান (৪৭)।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও দুটি আইফোন।
এই জাকির হোসেনই হা’\দির ওপর গু’\লি’\চালনার সময় সন্দেহভাজনদের সঙ্গে ছিলেন—এমনটাই নিশ্চিত করেছেন গাবতলী থানায় ডাকাতির মামলার বাদী কামাল হোসেন।
সাক্ষ্য ও শনাক্তকরণ
কামাল হোসেন বলেন, “ডিএমপির ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিটি এবং হা’\দির গু’\লি’\কা’\ণ্ডের সময় ফয়সাল ও আলমগীরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটিকে আমি চিনেছি। এই লোকই আমার বাসায় ডাকাতি করেছিল এবং তার নাম জিন জাকির।”
তিনি আরও জানান, জাকিরসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি ‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয় দিয়ে তার বাসায় প্রবেশ করে ডাকাতি করেছিল। মোহাম্মদপুরে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর তাকে ডেকে নেওয়া হলে তিনি জাকিরকে চিহ্নিত করেন।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বিচারপতি আতাউর রহমান ও বিচারপতি আলী রেজা-এর হাইকোর্ট বেঞ্চে অ্যাডভোকেট ওমর সাদমানীর পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে জাকির হোসেনের জামিন মঞ্জুর হয়। ওই মাসেই তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন।
এতদিন হা’\দির ওপর হা’\মলার ঘটনার সঙ্গে শুধু ফয়সাল ও আলমগীরের নামই আলোচনায় ছিল। তবে ‘জিন জাকির’কে চিহ্নিত করার পর গোটা ঘটনা আরও জটিল ও গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


