জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মান’\বতা’\বিরোধী অপরাধের মামলায় মৃ’\ত্যু’\দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।
ভাষণের শুরুতেই দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ যুগে যুগে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। তার ভাষায়, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েও সেই প্রেরণার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে, যা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষাকে আরও দৃঢ় করেছে।
ভাষণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হা’\মলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর সরাসরি আঘাতের শামিল। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা দেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা মাত্র, যা কখনোই সফল হবে না।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “নির্বাচন হয়ে গেলে তাদের বন্ধুরা তাদের সাহায্য করতে পারবে না, তাই নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরতে হবে। কেউ দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে পারবে না। পরাজিত শক্তি আর কোনোদিন ফিরে আসতে পারবে না।” তার এই বক্তব্যে আসন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ঘিরে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন দেখা যায়।
তিনি জানান, প্রশাসনকে কার্যকর ও নিরপেক্ষ করে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু রদবদল আনা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নিরাপদ ও নির্ভীক পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই এসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলেও তিনি ভাষণে উল্লেখ করেন।
ভাষণে তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে সরকার অবিচল থাকবে এবং যেকোনো ষড়যন্ত্র বা বাধা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাবে।


