যশোরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’ওয়ামী লী’গ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ১৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’-এর অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রে’ফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আটককৃতদের একাধিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডসংক্রান্ত মামলায় গ্রে’ফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার রাতভর যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ ছয়জনকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে আ’ওয়ামী লী’গের একজন নেতা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, একজন ইউপি সদস্যসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন— জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল গাজী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শরীফ আব্দুল্লাহ আল মারুফ পিয়াল এবং তার ভাই যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ হিমেল। এছাড়া যুবলীগ নেতা আলী হোসেন, জিল্লু ফরাজি, কিশোর গ্যাং চক্রের অন্যতম সদস্য ও পাঁচ মামলার আসামি অমিত হাসান এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য উজ্জ্বল হোসেনও রয়েছেন আটক তালিকায়।
যশোর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাশার (Abul Bashar) জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে আ’ওয়ামী লী’গের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের গ্রে’ফতার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান মামলাগুলোতে গ্রে’ফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


