জামায়াতের প্রার্থীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও প্রকাশ্যে ক্ষমা দাবি এ্যানির

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ড. রেজাউল করিমের বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ফ্যা’\সিস্টের মতো ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বক্তব্য প্রত্যাহারসহ প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে—এমন মন্তব্য করেছেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ইসলাম মার্কেট এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এ্যানি। এ সময় তিনি সরাসরি জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ও দলীয় প্রার্থী ড. রেজাউল করিমের বক্তব্যের সমালোচনা করেন।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “আমি একটি টকশোতে কথা বলেছি। সেখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী নিজেই স্বীকার করেছেন, এক ধরনের রাজনৈতিক দলের রাজনীতিবিদ এতিমের টাকা, দুঃস্থদের টাকা মেরে খেয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য এর আগেও শেখ হাসিনা ও ফ্যা’\সিস্টের দোসররা দিয়ে এসেছে।”

তিনি আরও বলেন, “ড. রেজাউল করিম আল্লাহর কসম করে বলেছেন, তিনি খালেদা জিয়ার নাম নেননি। কথাটা সত্য, তিনি নাম নেননি। কিন্তু প্রশ্ন হলো—তিনি কাকে মিন করেছেন? বেগম খালেদা জিয়া সারা বাংলাদেশে যেমন, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবেও সম্মানিত একজন নেতা। তাহলে হাসিনা যেভাবে ফ্যা’\সিস্ট কায়দায় কথা বলেছেন, উনিও ঠিক সেভাবেই কথা বলেছেন।”

এ্যানির অভিযোগ, কিছু গণমাধ্যম বিষয়টি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, “আমি প্রত্যাহার করে নিয়েছি—এই কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমি কী প্রত্যাহার করেছি? যার মুখে এ ধরনের স্বীকারোক্তি, যিনি বলেন এক ধরনের রাজনীতিবিদ এতিম ও দুঃস্থদের টাকা মেরে খেয়েছে—তিনি কি ফ্যা’\সিবাদের মতো খালেদা জিয়াকে অসম্মান করেননি?”

তিনি এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এই বক্তব্যে ড. রেজাউল করিমকে ক্ষমা চাইতেই হবে। তিনি বলবেন যে খালেদা জিয়াকে মিন করেননি—এই কথা সত্য নয়। বাস্তবে উনি খালেদা জিয়াকেই উদ্দেশ করেই কথাটি বলেছেন।”

এ্যানি আরও বলেন, “দায়িত্ব নিয়ে অনুরোধ করছি—আমার নেত্রীকে অবজ্ঞা করেছেন, ছোট করেছেন এবং অন্যায়ভাবে ফ্যা’\সিস্টের মতো বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি শুধু বক্তব্য প্রত্যাহার করলেই হবে না, এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলতে হবে। আপনি আল্লাহর কসম দিয়ে যা বলেছেন, তার বিপরীতে আমার কাছে ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। মানুষের সামনে অপপ্রচার চালানো যেতে পারে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আপনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকেই মিন করেছেন।”

শেষে তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলছি—আপনাকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং লক্ষ্মীপুরের মানুষের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা আবুল হাশেম, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ আরও অনেকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *