হ’\দি হ’\ত্যা মামলার অগ্রগতি জানাতে আজ যৌথ সংবাদ সম্মেলন

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শ’\রিফ ওসমান হ’\দিকে গু’\লি করে হ’\ত্যা’\র ঘটনায় তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি জানাতে আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) একটি সমন্বিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। এতে র‍্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। তারা তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য, গ্রে’\প্তা’\র এবং অভিযুক্তদের পরিচয়সহ নানা দিক তুলে ধরবেন।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, “তিন বাহিনীর সমন্বয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনে তদন্তের সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করা হবে।”

অন্যদিকে, ওসমান হ’\দি’\কে গু’\লি করে হ’\ত্যা’\র চেষ্টার অভিযোগে করা মামলাটি শনিবার আদালতের নির্দেশে হ’\ত্যা মামলায় রূপান্তর হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) (DB Police)।

১৪ ডিসেম্বর রাতে পল্টন থানায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সাল করিম মাসুদসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। মামলায় হ’\ত্যা’\র পরিকল্পনা ও অর্থায়নের অভিযোগও আনা হয়েছে।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, হ’\তি’\র ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রে’\প্তা’\র করা হয়েছে। র‍্যাব গ্রে’\প্তা’\র করেছে আটজনকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন:
– প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা হুমায়ুন কবির,
– মা হাসি বেগম,
– স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া,
– শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু,
– বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা,
– সহযোগী দাঁতভাঙ্গা কবির,
মো. ফয়সাল এবং
– মোটরসাইকেল মালিক আব্দুল হান্নান

অপরদিকে, সীমান্তপথে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে সঞ্জয় চিসিমসিবিয়ন দিও এবং মাসুদকে পালাতে সহায়তাকারী নুরুজ্জামান নোমানীকে গ্রে’\প্তা’\র করেছে পুলিশ। মামলায় আরও দুই গাড়িচালককে সাক্ষী করা হয়েছে।

শনিবার সকালেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে হ’\দির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মর্গ সূত্র জানায়, তার মাথায় গু’\লি’\র চিহ্ন ছিল, পাশাপাশি বুকে একটি ফুটো পাওয়া গেছে—যা সম্ভবত চিকিৎসার প্রয়োজনে করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর দুপুরে বিজয়নগরের কালভার্ট রোডে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় হ’\দিকে গু’\লি করে পালিয়ে যায় মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গু’\লি ছোড়া ব্যক্তিকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ হিসেবে শনাক্ত করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন আলমগীর হোসেন ওরফে আলমগীর শেখ। জানা যায়, ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তারা ময়মনসিংহের ধোবাউড়া–হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *