লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানাধীন ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খন্দকারপুর গ্রামের প্রবাসী বাসিন্দা হাজী নুরু মিয়ার বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পী আক্তারের বিরুদ্ধে। হাজী নুরু মিয়া সৌদি আরব শাখা বিএনপির সাবেক কোষাধক্ষ্য হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হাজী নুরু মিয়ার পরিবারের সঙ্গে অভিযুক্ত পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে প্রবাসী নুরু মিয়ার স্ত্রী মমতাজ বেগম ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বেলাল, ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হারুন চৌধুরী এবং স্থানীয় সার্ভে-আমিন মোহাম্মদ ফারুকের সমন্বয়ে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সালিশে উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আপস-মীমাংসা করা হয় এবং উপস্থিত সবাই সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেন। তবে সালিশের মাত্র একদিন পর কালু মিয়া বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, লক্ষ্মীপুর আদালতে ১৪৪/৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার শুনানির জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখ নির্ধারণ করেন এবং বিরোধীয় জমিতে কোনো পক্ষ যেন নির্মাণ কাজ করতে না পারে—সে জন্য লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর সদর থানার এসআই ইয়াকুব আলী উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন। অভিযোগ উঠেছে, এই আদেশ উপেক্ষা করেই কালু মিয়ার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী শিল্পী আক্তার রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও পরে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে এড়িয়ে যান।
এদিকে প্রবাসী হাজী নুরু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, তিনি নির্মাণকাজে বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি লক্ষ্মীপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুর থানার এসআই নুরুল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে এসআই নুরুল করিম জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং আদালতের আদেশ অনুযায়ী নালিশি জমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন: বার্তা বাজার / এস এইচ


