লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)–র চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমেদ (Colonel Oli Ahmed) অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপি (Bangladesh Nationalist Party) তাদের দলকে অবমূল্যায়ন করেছে। বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনায় এলডিপির পক্ষ থেকে ১৪ জনের একটি শর্ট লিস্ট দেওয়া হলেও সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় এলডিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. কর্নেল অলি আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এলডিপিকে রাজনৈতিকভাবে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অন্তত তাদের দেওয়া শর্ট লিস্টটি বিবেচনায় নেওয়া বিএনপির উচিত ছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এলডিপি কখনোই দাবি করেনি যে শর্ট লিস্টের সব প্রার্থীকে আসন দিতে হবে, তবে ন্যূনতম সম্মান ও আলোচনার সুযোগ প্রত্যাশা করেছিল দলটি।
কর্নেল অলি আহমেদ আরও বলেন, এসব কারণেই এলডিপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে। তার ভাষায়, রাজনৈতিক বাস্তবতায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে এলডিপি।
এদিকে, এলডিপির এই অবস্থানের মধ্যেই দলটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ (Dr. Redowan Ahmed) বিএনপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৭ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানান।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদানের ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম থেকেই নির্বাচন ও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। সে বিবেচনা থেকেই তিনি বিএনপির নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ড. রেদোয়ান আহমেদ আরও বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংসদীয় রাজনীতিতে তার পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি কুমিল্লা-৭ আসনের জনগণের পক্ষে কথা বলতে চান। পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বিএনপির আন্দোলন ও নির্বাচনী লড়াইয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
দীর্ঘদিন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা ড. রেদোয়ান আহমেদের বিএনপিতে যোগদানকে আসন্ন নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।


