শেষ পর্যন্ত কি মান্না নির্বাচন করতে পারছেন ? যা জানা গেল

ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম বাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শুনানি শেষে আদালত এ নির্দেশ দেয়। ফলে বগুড়া থেকে জাতীয় নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা নেই বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

এর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা থেকে খেলাপি ঋণের ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে গত ১০ ডিসেম্বর একটি ‘কলব্যাক নোটিশ’ পাঠানো হয়।

নোটিশটি পাঠানো হয় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের নামে।

নোটিশে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ঠিকানা উল্লেখ করা হয়।

অংশীদারিত্ব কাঠামো অনুযায়ী, আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডে মাহমুদুর রহমান মান্নার মালিকানা ৫০ শতাংশ, এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ২৫ শতাংশ এবং তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজুর ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

নোটিশে আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তবে গত বুধবার হাইকোর্ট ওই রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *