আয়নাঘরে বহু আলেম-ওলামাকে দেখেছিলাম,জানালেন জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami Bangladesh) আমির ডা. শফিকুল ইসলাম (Dr. Shafiqur Rahman) বলেছেন যে, গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে দেশের আলেম-ওলামারা চরম নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, “দ্বীনের শিক্ষা সংকুচিত হলে সমাজে অন্ধকার বৃদ্ধি পায়। আমরা এমন একটি সময় পার করেছি, যেখানে আলেম-ওলামাদের সবচেয়ে বেশি অপদস্থ করা হয়েছে। জেলখানা পরিপূর্ণ ছিল ইসলামী চিন্তাবিদদের দিয়ে, অথচ দাগী অপরাধীরা অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছে রাজপথে।”

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও নিখোঁজ আলেমদের অবস্থা

ডা. শফিকুল ইসলাম আরও জানান যে, তিনি সর্বশেষ ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর তিনি সিটিটিসির (CTTC) হেফাজতে ১৩ দিন অতিবাহিত করেন। যদিও তাকে ‘আয়নাঘর’-এ রাখা হয়নি, তিনি সেটি দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, “অনেক আলেম-ওলামা দীর্ঘদিন নিখোঁজ ছিলেন। কেউ ১৪ মাস, কেউ ১০ মাস, কেউ ৮ মাস বন্দি ছিলেন। সর্বনিম্ন কারাবাসের মেয়াদ ছিল আড়াই মাস। তারা জানতেন না, তারা কোথায় আছেন, এমনকি তাদের পরিবারও জানতো না তারা বেঁচে আছেন কি না।”

সাম্প্রতিক পরিবর্তন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, সাড়ে ১৫ বছর পর পরিবর্তন এসেছে। ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর দেশের ওলামা-একরাম, মাদ্রাসার ছাত্ররা, জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) ও ইসলামী ছাত্রশিবির (Islami Chhatra Shibir) বিশেষভাবে সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছে। কারণ আমরা আল্লাহকে ভয় করি, দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসি।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *