রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার এলাকায় নারীদের ওপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত মো. রাসেল হোসেন (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
মতিঝিল থেকে গ্রেফতার
সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় মতিঝিল এলাকা থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাইবার ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একটি চৌকস দল তাকে আটক করে।
ভাইরাল ভিডিওতে রাসেলের হামলা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, শ্যামলী স্কয়ার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা নারীদের উদ্দেশে অশোভন আচরণ করেন রাসেল।

পরে একটি লাঠি হাতে নিয়ে এলোপাথাড়ি তাদের ওপর হামলা চালান। সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা ব্যাপক নিন্দা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
ডিবি জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত রাসেল হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সম্পর্কিত বিতর্ক ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাসেল হোসেনের সঙ্গে এনসিপি নেতা সারজিস এবং হাসনাত এর একাধিক ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন ব্যবহারকারী, জাহিদ জাগোত, অভিযোগ করে বলেন, “রাসেল শ্যামলী এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। সে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে নারীদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে এবং সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছে।”
সমালোচকদের দাবি, হান্নান মাসুদ এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর মতো ব্যক্তিরা নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জন্য রাসেল হোসেনের মতো ব্যক্তিদের ব্যবহার করে থাকেন।

সেনাবাহিনীর ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন
একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরেও বিতর্ক দেখা দিয়েছে, যেখানে রাসেল হোসেন দাবি করেছেন তিনি সেনাবাহিনীর ঠিকাদারি লাইসেন্স পেয়েছেন। এতে প্রশ্ন উঠেছে, এই লাইসেন্স কীভাবে এবং কার মাধ্যমে পাওয়া গেল?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারী এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজনৈতিক দল হতে পারবে কি না, সেটাই প্রশ্ন। বরং তারা স্থানীয়ভাবে অপরাধীদের সুরক্ষা দিচ্ছে।”
এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও তদন্ত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।