‘এক-এগারোর মতো আবারও বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের মুখোমুখি করা হচ্ছে’- এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “বিএনপি বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণের সমর্থন পাবে এ বিষয়টি যত স্পষ্ট হচ্ছে, তত বেশি দলটিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বিএনপির বিরুদ্ধে একটি বিশাল ষড়যন্ত্র গড়ে উঠেছে।”
সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল লেকশোরে জিয়া সাইবার ফোর্সের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের জন্য ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন , সোমবার সকালেও বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় কিছু ঘটনা দেখলাম, দেখার পরে কেন্দ্রীয় অফিসে (নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) যখন আমি খবর নিলাম- তারা আমাকে জানালো, ঘটনা ঘটেছে এরকম পত্রিকায় উপস্থাপন করা হয়েছে আরেক রকমভাবে।
তিনি বলেন, একটি মহল বা যারা ষড়যন্ত্র করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে, একই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে তারা তাদের অবস্থান থেকে এবং তাদের সঙ্গে যেসকল মিডিয়া হাউজের সম্পর্ক আছে, তাদের মাধ্যমে ঠিক ১/১১-এর সময় যেভাবে বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে এরকম একটি প্রেক্ষাপট কিন্তু তারা তৈরি করার চেষ্টা করছে।
তারেক রহমান বলেন, যে ষড়যন্ত্র ছিল দেশের জনগণ, গণতন্ত্রের ভিত্তি ও দেশের বিরুদ্ধে- একটি ষড়যন্ত্র আবারও শুরু হয়েছে। এটি শুধু কথার কথা না। এই রকম একটি ঘটনা দিনদিন গড়ে উঠছে। বাংলাদেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদী শক্তিসহ সকল কিছুর বিরুদ্ধে এরকম একটি ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে।
জনগণ যে নির্বাচনের ভোট দিয়ে তার মতামত দিতে পারবে সেই নির্বাচনেই পক্ষে বিএনপি বলেও জানান তারেক রহমান। স্বৈরাচারের আমল থেকে শুরু করে এই মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশে জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কোন সরকার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখানে একজন বক্তা নতুন ভোটের কথা বলেছেন, তাদের কি চিন্তা-ভাবনা। এগুলো এখনো আমরা সঠিক জানি না। আমি তো মনে করি, নতুন যারা ভোটার- এদের কাছে যুক্তি-তর্ক সকল কিছু দিয়ে আপনারা (অনলাইন এক্টিভিস্ট) তাদের মোটিভেট করতে সক্ষম বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনলাইন এক্টিভিস্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যখন থেকে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রের ঘাড়ে স্বৈরাচারে চেপে বসেছিল, তখন থেকে আপনারা সংগঠিত হয়ে জনগণ ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের কথা তুলে ধরেছেন- যে যুদ্ধ আপনারা করেছেন, যার কারণে আপনাদেরকেও বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আপনারা এসেছেন তার জন্য আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র সভাপতিত্বে এই আয়োজনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অন্ন্যান্য অনলাইন এক্টিভিস্টরা বক্তব্য রাখেন।