জন প্রতি ৫০ লক্ষ টাকায় চলিতেছে আ’লীগ কাউন্সিলরদের পূর্নবাসনের কাজ , নেপথ্যে আসিফ মাহমুদ ও এনসিপি

স্থানীয় রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে শুরু থেকেই বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ও কমিশনারদের দলে টানার চেষ্টা করেছে ছাত্র জনতা। এরই ধারাবাহিকতায়, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর, হাসনাত সার্জিস বৈঠকে বসেন দেড় হাজার বহিষ্কৃত কাউন্সিলরের সঙ্গে। বৈঠকে, তাদের নতুন রাজনৈতিক দলে কাজ করার প্রতিশ্রুতি নিলে স্বপদে পুনর্বহালের আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।

পরবর্তীতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিও ওঠে। তবে বিএনপি (BNP) এবং সমমনা দলগুলোর বিরোধিতার কারণে নতুন কৌশলে এই বহিষ্কৃত আওয়ামী কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলছে। এতে শুধু রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধিই নয়, বরং বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যেই তাজা খবর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকার ১২৯ টি ওয়ার্ডে কমিশনারের পরিবর্তে প্রশাসক নিয়োগ , ভাইভা নিচ্ছেন এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক

অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের দাবি

এবার, প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন (Ilias Hossain) বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি দাবি করেন, “আসিফ নজরুল (Asif Nazrul) এর ছায়ায়, আসিফ মাহমুদ (Asif Mahmud) এর শত কোটি টাকা আত্মসাতের প্রকল্প নীরবে চলছে।”

তিনি আরও জানান, রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস-এর ৩১ নম্বর রোডের ৪৬৯ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় এই বিতর্কিত লেনদেন চলছে। সেখানে নাগরিক পার্টি (Nagarik Party) এর যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ স্থানীয় প্রশাসকদের ইন্টারভিউ নিচ্ছেন।

বিতর্কিত লেনদেন ও পুনর্বাসনের অভিযোগ

ইলিয়াস হোসেনের ভাষ্যমতে, এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা আবু সাঈদ লিওন, যিনি আসিফ মাহমুদ এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এছাড়া, এই বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী লুতফর রহমান (Lutfor Rahman), যিনি একসময় ছাত্র অধিকার পরিষদ (Chhatra Odhikar Parishad) এর নেতা ছিলেন এবং ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

১৫ মার্চ দুপুর ১১টার পর থেকে ইন্টারভিউ পর্ব শুরু হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, দুপুর ২টার দিকে বোর্ডে আলাউদ্দিন মোহাম্মদ কেন্দ্রস্থলে, লুতফর তার পাশে, এবং দরজার শুরুতে আবু সাঈদ লিওন বসেছিলেন।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে পুনর্বহাল করতে ৫০ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে এই পুনর্বাসন কার্যক্রম এখন ব্যাপক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *