স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দাবি হাসনাত আবদুল্লাহর
জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah) বলেছেন, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। প্রশাসনই ভোট নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেছে। তিনি বলেন, এই আওয়ামী প্রশাসন (Awami Administration) একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা হারিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রশাসনের সংস্কার ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি প্রস্তাব করেন, অন্তত পাঁচ থেকে ছয় ধাপে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করে প্রশাসনের স্বচ্ছতা যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা হোক।
গণইফতারে বক্তব্য
আজ বুধবার (১৯ মার্চ) কুমিল্লা (Cumilla) নগরীর শাসনগাছা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত গণইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশীদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন— জয়নাল আবেদীন শিশির, ইয়াছিন আরাফাত, সাকিব হোসাইন, রাশেদুল ইসলাম, আবু রায়হান, মুহিবুর রহমান, মো. ইকবাল, কাজী নাছিম, আবু সাঈদ, শাখাওয়াত শাওন, বিল্লাল হোসেনসহ এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (Anti-Discrimination Student Movement)-এর নেতৃবৃন্দ।
আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন নিয়ে সমালোচনা
আওয়ামী লীগ (Awami League)-কে পুনর্বাসনের জন্য কিছু রাজনৈতিক দল কূটনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, যে দলকে ছাত্র ও নাগরিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ থেকে উৎখাত করা হয়েছিল, আজ বিদেশে বসেও ষড়যন্ত্র করে আবার তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, “এক খাপে দুই তলোয়ার থাকতে পারে না, তেমনি ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এনসিপি একসাথে থাকতে পারে না। যারা পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে, তাদের পরিণতিও গণভবন ও বঙ্গভবনের মতো হবে।”
কুমিল্লা প্রসঙ্গ
কুমিল্লাকে ‘হাসিনার দুঃস্বপ্ন’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, গত দেড় দশক কুমিল্লাকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে কুমিল্লার প্রতিটি আসনে এনসিপির শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন করে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাজার ও পুকুর দখলের প্রবণতা শুরু হয়েছে। তিনি জনগণকে আহ্বান জানান, দখলবাজদের প্রতিহত করে পুলিশের হাতে তুলে দিতে। কেউ চাঁদাবাজি করতে এলে সবাই যেন বলে, ‘চাঁদার টাকা হাসনাত আবদুল্লাহকে দিয়ে এসেছি’।