আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফেনী-১ (পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম (Alauddin Ahmed Chowdhury Nasim) ও তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজু (Dr. Jahanara Arju)-এর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) (Anti-Corruption Commission)।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান (Abdullah Al Noman) ফেনীর বিশেষ জজ আদালতে মামলাগুলো দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কার্যালয়ের আদালত পরিদর্শক মো. ইদ্রিস।
মামলার অভিযোগ
মামলায় আলাউদ্দিন নাসিমের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ টাকা এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে যুগ্ম সচিবের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগ (Awami League)-এ যোগ দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং ২০২৪ সালে ফেনী-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় (ফেনী, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা) মোট ১২৬টি দলিলের মাধ্যমে পাঁচটি ফ্ল্যাট, দুটি প্লটসহ ৩৯ কোটি ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৫ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেন। এছাড়া তার নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ টাকা জমা থাকার তথ্য রয়েছে।
অন্যদিকে, ডা. জাহানারা আরজুর নামে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিসহ মোট ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি ফেনীর পরশুরাম উপজেলার গুথুমা এলাকার মো. আবু তাহের চৌধুরীর মেয়ে এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (Bangladesh Medical University)-এর কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক।
দুদকের আদালত পরিদর্শক মো. ইদ্রিস জানান, উপপরিচালক মো. ফারুক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান তদন্ত করে এ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। এরপরই মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে।
আলাউদ্দিন নাসিমের অতীত
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০০১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার এপিএস হিসেবে ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।