পলাতক স্বৈরাচার ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি (BNP)–র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman)। তিনি বলেন, “সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যাতে করে পলাতক ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ পায়। স্থানীয় নির্বাচন আগে আয়োজনের অর্থই হচ্ছে পতিত স্বৈরাচারকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার পথ তৈরি করা।”
ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যে ভাঙনের আশঙ্কা
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে পেশাজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তারেক রহমান (Tarique Rahman)। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য বানিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে সংস্কার এবং নির্বাচনের বিষয়কে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে, যা স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান
বিএনপি (BNP)–র এই শীর্ষ নেতা বলেন, “গত দেড় দশকে দেশের তরুণরা ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই নির্বাচনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। ভোটাধিকার ছাড়া কোনো সংস্কারই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।”
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ
তারেক রহমান (Tarique Rahman) বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)–কে অভিযুক্ত করে বলেন, “তিনি সংবিধানকে নিজের ইচ্ছেমতো কাটাছেঁড়া করেছেন। পলাতক স্বৈরাচার বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে—এ কথা আজ সারা বিশ্ব জানে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “মাফিয়া শাসনের পতনের পর দেশের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নে দেশের পেশাজীবীদের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।”
সিভিল সোসাইটির গুরুত্ব
তারেক রহমান (Tarique Rahman) আরও বলেন, “রাষ্ট্রে যদি সিভিল সোসাইটি এবং পেশাজীবীদের অবস্থান দুর্বল থাকে, তাহলে কোনো উন্নত রাষ্ট্রব্যবস্থা টেকসই হতে পারে না।”