আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া জানালেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আইন বিভাগের ছাত্র সাইয়েদ আব্দুল্লাহ (Saiyed Abdullah) আজ ২২ মার্চ নিজের ফেসবুক ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগ (Awami League) নিষিদ্ধের সম্ভাবনা ও প্রক্রিয়া নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ বিগত বছরগুলোতে ভোটাধিকার হরণ, খুন, গুম, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, যা দলটির নিবন্ধন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কারণ ব্যাখ্যা

সাইয়েদ আব্দুল্লাহর মতে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু বিচার হলে দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তিনি বলেন, “যতদিন এসব অপরাধের বিচার না হয়, ততদিন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল, নৌকা প্রতীক বাতিল এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ বন্ধ করার মত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।”

নির্বাচনী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব

তিনি আরও প্রস্তাব দেন যে, পোলিং এজেন্টদের কার্যক্রম, নির্বাচনী প্রচার এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার মতো কার্যক্রম আপাতত নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। এসব বিষয়ে তিনি আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান।

গণভোটের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা

সাইয়েদ আব্দুল্লাহ মনে করেন, বর্তমান সরকার যদি ডেভিল হান্ট (Devil Hunt) চালু করে, তবে আওয়ামী লীগের অভিযোগ ভিত্তিক অপরাধগুলোও বিচারিক তদন্তের আওতায় আসা উচিত। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নতুন সরকার গঠনের পর সংসদে গণভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব

তিনি যুক্তি দেন, এ ক্ষেত্রে ইন্টারিম সরকারকে দায়ী করার সুযোগ নেই, কারণ গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামতই মূল সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে। এছাড়া, বিচার ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐক্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *