ঐকমত্য কমিশন: জামায়াতে ইসলামী’র অবস্থান

বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে। সংবিধানের মূলনীতিতে “আল্লাহর প্রতি অবিচল ঈমান ও আস্থা” ফিরিয়ে আনার পক্ষে মতামত জানিয়েছে দলটি।

প্রস্তাবনা জমা

দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার (Mia Ghulam Parwar) এর নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) এই সংস্কার প্রস্তাব কমিশনে জমা দেয়। জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে দলটি এই মতামত জমা দেয়। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ (Ali Riaz) আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির মতামত গ্রহণ করেন।

সংবিধান ও প্রশাসনিক সংস্কার নিয়ে জামায়াতের অবস্থান

জামায়াত সংবিধান, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর প্রস্তাবিত সংস্কারের কিছু দিকের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে। দলটি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ রাখার বিষয়ে সুপারিশ করেছে।

এছাড়া, দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা (PR System) প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে, যাতে সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা যায়। সংবিধানের সাম্য, গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার বহাল রাখার পক্ষেও মতামত দিয়েছে দলটি।

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে মতামত

জামায়াত দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট (Bicameral Parliament) গঠনের পক্ষে মত দিলেও এতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে দলটি বিশেষভাবে মতামত প্রদান করেছে, যেখানে আস্থাভোট ও বাজেট অনুমোদনের ক্ষেত্রে সাংসদদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

দলটি জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে নয় বলে জানিয়েছে।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিষয়ে জামায়াতের মত

জামায়াত পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। দলটি স্পষ্টভাবে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দেয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *