অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও আইনজীবী সাঈদ আবদুল্লাহ (Saied Abdullah) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে আব্দুল হান্নান মাসুদ (Abdul Hannan Masud)–এর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
সাঈদ আবদুল্লাহ বলেন, হান্নান মাসুদের ওপর যারা হামলা করেছে, তারা ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ করেছে। তাদের চিহ্নিত করে পুলিশের উচিত দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া এবং হান্নান মাসুদের উচিত তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা।
তিনি উল্লেখ করেন, হান্নান মাসুদ মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে হামলাকারীরা বিএনপি (BNP) থেকে বহিষ্কৃত কর্মী, যদিও নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন “বিএনপি কর্মীরা” হামলা চালিয়েছে। যদি বাস্তবে দেখা যায় যে হামলাকারীদের মধ্যে এখনো সক্রিয় বিএনপি কর্মী রয়েছেন, তাহলে তাদেরও বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।
বহিষ্কার নয়, আইনি প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ
সাঈদ আবদুল্লাহর মতে, রাজনৈতিক দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনেক সময় “আইওয়াশ” হিসেবে কাজ করে, তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনি প্রক্রিয়ায় আসামিদের বিচারের মুখোমুখি করা। তিনি বলেন, “বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হোক বা না হোক, কিংবা সাধারণ এলাকাবাসী হোক—যেই হোক না কেন, এই হামলার মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক দল হয়তো বহিষ্কার করলো, কিন্তু এতে স্থানীয় রাজনৈতিক কাঠামোতে খুব একটা প্রভাব পড়ে না। সমাধান হলো আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা।”
রাজনৈতিক পুনর্বাসনের অভিযোগ ও তার জবাবদিহিতা
পোস্টের এক পার্শ্ব মন্তব্যে সাঈদ আবদুল্লাহ অভিযোগের ভিত্তিতে বলেন, হান্নান মাসুদের বিরুদ্ধে এলাকায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ ছবিসহ এসব তথ্য প্রকাশ করছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে হান্নান মাসুদের জবাব দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যদি হান্নান মাসুদ নিজে এ ধরনের কোনো “পুনর্বাসন প্রজেক্ট”–এ যুক্ত হয়ে থাকেন, তবে তা নিন্দনীয় বলেও উল্লেখ করেন সাঈদ।
শারীরিক আক্রমণের নিন্দা ও সহিংস রাজনীতির বিরোধিতা
তিনি বলেন, “হান্নান মাসুদের বিরুদ্ধে শত সমালোচনা থাকতে পারে—কিন্তু এর কোনো কিছুই তার ওপর শারীরিক আক্রমণকে বৈধতা দেয় না।”
সবশেষে সাঈদ আবদুল্লাহ বলেন, “দল-মত-আদর্শ একেকজনের একেকরকম হতে পারে, কিন্তু কোন অবস্থাতেই পারস্পরিক হাতাহাতি-মারামারি-শারীরিক আক্রমণের রাজনীতি চলতে পারে না।”