ক্যাসিনোকাণ্ড সংশ্লিষ্ট আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম (GK Shamim) ও তার মা আয়েশা আক্তার (Ayesha Akhter) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) (Anti-Corruption Commission) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায় আজ ঘোষিত হবে।
রায় ঘোষণার দিন ধার্য
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ (Dhaka Special Judge Court-4) এর বিচারক মো. রবিউল আলম মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায় স্থগিত ও সাক্ষ্য পর্ব
মামলাটি এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য উপস্থাপন করা হয়। তবে জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ফের তালিকাভুক্ত করেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তার পুনরায় জেরা, আত্মপক্ষ সমর্থন, সাফাই সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর ২০ মার্চ রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করা হয়।
মামলার পটভূমি
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুদক-এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন।
মামলার অভিযোগ ও অনুসন্ধান
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জি কে শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হন। তার আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার হিসাব থাকলেও এর বৈধ উৎস খুঁজে পায়নি দুদক।
শামীমের বাসা থেকে নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, তাদের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব এবং ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআরসহ অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎসও পায়নি দুদক।
এছাড়াও অনুসন্ধানে আয়েশা আক্তারের বৈধ আয়ের কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। সবমিলিয়ে দুদকের অভিযোগ, আসামিরা মোট ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।