পান্তা-ইলিশ নয়, চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখে বিকল্প খাদ্য সংস্কৃতির পরামর্শ
অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার (Farida Akhtar) জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাত ও ইলিশ খাওয়া বাংলা সংস্কৃতির অংশ নয় বরং এটি একটি আরোপিত সংস্কৃতি, বিশেষ করে ঢাকা শহরে (Dhaka City)।
আজ সোমবার সচিবালয়ে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ইলিশের বিকল্প খাওয়ার পরামর্শ
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ খাওয়া বাংলা সংস্কৃতির অংশ না। যারা ইলিশ কিনে খাবেন, তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকায় একটি আরোপিত সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে। পান্তা ভাতের সঙ্গে মরিচ ভর্তা কিংবা অন্য মাছ খেলে কোনো অসুবিধা নেই।’
চৈত্র সংক্রান্তির ঐতিহ্য তুলে ধরেন উপদেষ্টা
চৈত্র সংক্রান্তির গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের আগের দিনটি বাঙালিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেটি হলো চৈত্র সংক্রান্তি। ওই দিন কোনো আমিষ খাওয়া হয় না, ১৪ প্রকার শাক খাওয়া হয়।’
পহেলা বৈশাখে বাতাসা, দই-চিড়া, ছাতুর শরবত কিংবা ভাত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইলিশ নিষেধ করলেই যে সব খাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তা না। আরও অনেক মাছ আছে যা খাওয়া যায়।’
জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের ঘোষণা
এ সময় তিনি জানান, আগামী ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ–২০২৫’ পালন করা হবে। জাটকা সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশ মাছের উৎপাদন বাড়বে এবং বাজারে সরবরাহও সহজলভ্য হবে।
তিনি সবাইকে জাটকা সংরক্ষণের আহ্বান জানান, যাতে ইলিশের প্রজনন ও উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়।