শাহজাহানপুর এলাকাকে ঘিরে জমি দখলের অভিযোগের জবাবে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মির্জা আব্বাস (Mirza Abbas)। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শাহজাহানপুরের অর্ধেক এলাকাই তার ও তার আত্মীয়দের পৈত্রিক সম্পত্তি। তার দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তাকে হেয় করার অপচেষ্টা চলছে।
‘আমার বিরুদ্ধে বারবার পুরনো অভিযোগ তোলা হচ্ছে’
এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমার বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে, আমি রেলওয়ের জমি দখল করেছি। এটা আগেও বলেছি, আবারও বলছি—যেটা ছড়ানো হচ্ছে সেটা ভিত্তিহীন।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০০৬ সালের আগেও এ ধরনের অভিযোগ উঠেছিল, তখন তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের (Awami League) কিছু নেতা একটি পত্রিকায় এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছিলেন।
আব্বাসের ভাষায়, “সেই পুরনো পত্রিকার কাটপিছ এখন আবার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। যারা এটা করছে, তারা বেশিরভাগই আওয়ামী সমর্থক ব্লগার।” তিনি স্পষ্টভাবে অভিযোগ করেন, “এটি একটি সাজানো প্রচারণা, যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।”
‘রেলওয়ে নয়, বরং আমাদের জমি দখল করেছে’
নিজের বক্তব্যকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, “শাহজাহানপুর এলাকার অর্ধেকটাই আমার পৈত্রিক সম্পত্তি—আই রিপিট, পুরো শাহজাহানপুর এলাকার অর্ধেকটাই আমার ও আমার আত্মীয়দের পৈত্রিক সম্পত্তি।” তার ভাষায়, “আমাদের বলা হচ্ছে আমরা রেলওয়ের জমি দখল করেছি; বাস্তবতা হলো, রেলওয়ে বরং আমাদের জমি দখল করে বসে আছে।”
তিনি বলেন, এই জমিতে তারা আট পুরুষ ধরে বসবাস করে আসছেন—সেই সময় ঢাকা শহরে রেলওয়ের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্মের আগেই আমরা সেখানে বসবাস করি। কাজেই এটা বোঝাই যাচ্ছে, এই ধরনের অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক এবং রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।”
আব্বাস আরও অভিযোগ করেন, “এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ তো আছেই, আরও দুটি দল আছে যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব প্রচারণা চালাচ্ছে।” তিনি বলেন, “তাদের এখন প্রচুর টাকা আছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল অর্থ খরচ করে এ ধরনের প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।”
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, “আমরা যখন জেল-জুলুমের শিকার হচ্ছিলাম, তখন কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। এখন যখন তারা আমাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করছে, তখন এসব কথা বলছে।”
শেষ পর্যন্ত মির্জা আব্বাসের বক্তব্য ছিল একটাই—”এই অপপ্রচার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চালানো হচ্ছে, আর আমি সেটা প্রতিহত করতে জনগণের সামনে সত্য তুলে ধরছি।”