বিদেশি কূটনীতিকদের টার্গেট করে ‘প্রেমের ফাঁদ’ পাতার অভিযোগে আলোচিত মডেল মেঘনা আলম (Meghna Alam)-কে এবার প্রতারণার মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। এর আগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য তাকে আটক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুম মিয়া শুনানি শেষে মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আবুল বাশার এ বিষয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী (Omar Faruq Faruqi)।
ডিএমপি’র গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরায় মেঘনার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়। ওই রাতেই তাকে আটক করে রাখা হয় এবং পরদিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেয়।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, মেঘনা আলম দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলার চেষ্টা করতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ‘রূপ ও প্রলোভনের ফাঁদে’ ফেলে নানা সুবিধা আদায় করতেন তিনি। একাধিক কূটনৈতিক সংস্থার পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে অভিযোগ এসেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, মেঘনা আলম মূলত মডেলিং জগতের পরিচিত মুখ হলেও, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ প্রতারণা মামলায় তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নতুনভাবে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে।