যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (Asif Mahmud Sajib Bhuiyan)-এর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোয়াজ্জেম হোসেনকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে প্রজ্ঞাপনে তার অপসারণের পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “জনস্বার্থে” জারি করা এ আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, মোয়াজ্জেম হোসেনের গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার দক্ষিণপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম মো. আজিজার মন্ডল এবং মাতার নাম আনোয়ারা বেগম।
৮ এপ্রিল থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত কার্যকর ধরা হয়েছে, যার জন্য উপদেষ্টার সম্মতি নেওয়া হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ পদত্যাগ বা সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হঠাৎ নেওয়া হলেও, তা কয়েকদিন আগে থেকেই কার্যকর হিসেবে ধরা হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট এপিএস হিসেবে নিয়োগ পান মোয়াজ্জেম। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে তার নাম উঠে এসেছে একাধিক বিতর্কিত নিয়োগ ও অভিযোগে। বিশেষ করে ওয়াসা এবং অন্যান্য দপ্তরে ‘নিয়োগ বাণিজ্যের’ সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার গুঞ্জন ছিল দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনিক মহলে আলোচিত।
তবে এসব বিতর্কের সঙ্গে তার সরিয়ে দেওয়ার কোনো সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেনি প্রজ্ঞাপনটি। প্রশাসনিক রীতি অনুযায়ী, সচরাচর এমন উচ্চ পর্যায়ে এপিএস পদে পরিবর্তন হলে তার কারণ ব্যাখ্যা করা হয় না। তবুও এ ধরনের হঠাৎ সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
সরকারি মহলে আলোচনার সূত্র ধরে কেউ কেউ মনে করছেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড অথবা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো অনিয়মই হয়তো এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ হতে পারে। তবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো বক্তব্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।