বর্তমান সরকারের নির্বাচন নিয়ে অনীহার পেছনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনো গোষ্ঠীর ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সহ-স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি (Nilofar Chowdhury Moni)। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শো-তে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা তখন নির্বাচন দিয়েছেন, কিন্তু মানুষকে ভোট দিতে দেননি। আর এখনকার সরকার তো নির্বাচনই দিতে চায় না।”
নিলোফার চৌধুরীর মতে, এখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন আয়োজনের জন্য আদর্শ হতে পারে। তিনি বলেন, “কেয়ারটেকার সরকার যদি তিন মাসে নির্বাচন দিতে পারে, তাহলে এই সরকার প্রায় নয় মাসে কেন নির্বাচন দিতে পারবে না?”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বর্তমান সরকার থাকার ফলে যারা লাভবান হচ্ছে, তারাই চায় না সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। তারা কিছু লোককে নিয়ে নানাভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে, যেন সরকারে ফিরে আসা যায়। কিন্তু যদি তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে আসে, তাহলে এই দেশের জন্য তারা হবে বড় অন্তরায়।”
বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে আন্দোলন করেছি, সরকারবিরোধী নয়। শেখ হাসিনা একাধিকবার ‘ডামি’ নির্বাচন করেছেন, আমরা সেইসব ভোট বর্জন করেছি। রাতের ভোট হয়েছে, একক প্রার্থী রেখে নির্বাচন হয়েছে— আমরা জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য সেসবের বিরোধিতা করেছি।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “রাজনীতিতে ‘শেষ’ বলে কিছু নেই। আমরা আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে আছি, থাকবো। বিএনপি সবসময়ই নৈতিক ও উদার রাজনৈতিক দল ছিল এবং থাকবে।”
অন্যদিকে, ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনীতিতে গোপন বৈঠকের অভিযোগ নিয়েও আলোড়ন চলছে। সম্প্রতি জানা গেছে, আওয়ামী লীগ (Awami League) নেতারা কলকাতার রাজারহাট নিউ টাউন প্লাজায় একাধিক গোপন বৈঠক করেছেন, যা নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
নিলোফার মনি বলেন, এইসব গোপন বৈঠক ও রাজনীতির ছলচাতুরির পেছনে থাকা গোষ্ঠী যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে বামপন্থী রাজনীতিকরাও জানেন— এই শক্তি ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য কতটা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।