আওয়ামী লীগ দেখলেই পুলিশে দিন: সমাবেশে এনসিপি নেত্রী সামান্তার আহ্বান

আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। শুক্রবার (২ মে) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে এনসিপি ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, “যেখানেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী দেখবেন, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে তাঁদের পুলিশে দিন।”

সামান্তার ভাষায়, “এই দেশে আওয়ামী লীগ আর কোনো দিন রাজনীতি করতে পারবে না।” তাঁর মতে, দলটির “গণহত্যার দায়ে বিচার হওয়া উচিত” এবং “রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি নিবন্ধনও বাতিল করতে হবে।”

এই বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিল বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা, যাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে সমাবেশস্থলে আসেন। জুমার নামাজের পর থেকেই বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট মুখর হয়ে ওঠে স্লোগানে ও প্রতিবাদে। সমাবেশে অংশ নেন এমন অনেকেই ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এ আহত হয়েছিলেন বলেও দাবি করা হয়।

এনসিপির সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচার বহির্ভূত হত্যা ও দমন-পীড়নের ঘটনা বেড়েছে। তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় শক্তিকে অপব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।”

বিক্ষোভকারীরা ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ ও ‘দলীয় শাসনের অবসান’-এর দাবিতে রাজনৈতিক সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। তবে আওয়ামী লীগ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য ও কর্মসূচির বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *