নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে তা প্রকাশের ক্ষেত্রে শালীনতার পরিচয় দেওয়া উচিত

ভিন্নমত প্রকাশের ক্ষেত্রে সহনশীলতা ও শালীনতার গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিলেন ড. আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে তিনি এ বক্তব্য দেন।

ব্রিফিংয়ে ধর্মীয় চাপের মুখে নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, “নারী সংস্কার কমিশনের যে প্রস্তাব, তা একটি কমিশনের নিজস্ব মতামত, সরকারি সিদ্ধান্ত নয়। দেশের ইতিহাসে যত সংস্কার কমিশন হয়েছে, সবক্ষেত্রেই ভিন্নমত উঠে এসেছে। নারী সংস্কার কমিশনের ক্ষেত্রেও ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক।”

তিনি আরও বলেন, “ভিন্নমত প্রকাশ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শালীনভাবে হয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিদ্বেষপূর্ণ, আক্রমণাত্মক এবং নারী তো বটেই, গোটা জাতির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে। এটি কাম্য নয়।”

ড. আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, গণতান্ত্রিক সমাজে ভিন্নমতের উপস্থিতি স্বাভাবিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। তবে সে মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সভ্যতা ও সৌজন্যের সীমারেখা রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সম্প্রতি নানা বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ধর্মীয় গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে। তবে সরকার পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, কমিশনের প্রস্তাব মানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মতপার্থক্য গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, তবে তা যদি ব্যক্ত করা হয় কুরুচিপূর্ণ ভাষায়, তা সমাজের ঐক্য ও সম্মানবোধকে আঘাত করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *