খালেদা জিয়া-র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। কাতারভিত্তিক আল জাজিরা, মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ, সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমস এবং ভারতের টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া — সবখানেই প্রাধান্য পেয়েছে তার দেশে ফেরার ঘটনা।
[আল জাজিরা]-র প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল: “গণতন্ত্রের সংকটপূর্ণ সময়ে দেশে ফিরলেন সাবেক নেতা খালেদা জিয়া”। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনে চার মাসের চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার এই প্রত্যাবর্তন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আল জাজিরার বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র বিক্ষোভের পর ক্ষমতায় এসেছে এবং এই সংকটময় সময়ে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বিএনপির জন্য এক বিশাল প্রতীকী তাৎপর্য বহন করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ভারতে নির্বাসিত।
অন্যদিকে [এবিসি নিউজ]-এর প্রতিবেদনেও খালেদা জিয়ার ফিরে আসাকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের শিরোনাম: “বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন নির্বাচনের চাপ বাড়াচ্ছে।” এবিসির ভাষ্যমতে, লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা খালেদা জিয়ার উপস্থিতি দেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এবিসি আরও উল্লেখ করেছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বয়কট এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ ছিল সাধারণ ঘটনা। হাসিনার পতনের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল একটি গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার। তবে, বর্তমান সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন নিয়ে এখনো সংশয় কাটেনি বলে বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে।
ভারতের [টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া] তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, “যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।” সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে তারা চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনকেই মূল বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন এক সময়ে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আগামী নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সমীকরণে এর বড় প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।