পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার সাম্প্রতিক সঙ্ঘাতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে একটি মিসাইল হামলা চালানো হলেও, দেশটি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু না করার বিষয়ে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ অবলম্বন করেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া (Times of India)। ৬ মে (মঙ্গলবার) মধ্যরাতে ভারত এই হামলা চালায়, যার জবাবে পাকিস্তান তৎক্ষণাত পাল্টা আঘাত হানে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক ও নির্ভুল প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ত্র ব্যবহার করে ভারত এই হামলা চালায়। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে এই আঘাত হানার সময় তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা হয়। তবে ভারতের লক্ষ্য ছিল একেবারে স্পষ্ট—পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনো স্থাপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করা।
এর বিপরীতে, পাকিস্তান সরাসরি ভারতের সেনা স্থাপনাগুলোর ওপর পাল্টা আঘাত হানে। ইসলামাবাদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা চালায়, এবং সীমান্ত রেখার দুদনিয়াল সেক্টরে একটি মিসাইল ছুড়ে ভারতীয় সেনাদের একটি চৌকি ধ্বংস করে দেয়।
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) এক ভাষণে দাবি করেন, “শত্রুকে যে আঘাত দেওয়া হয়েছে, তা এতটাই গভীর যে সময়ও সেই ক্ষত সারাতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেট বিমানের হামলায় ভারতের গর্বের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে, যেগুলো এখন কেবল ছাই আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত।
৭ মে (বুধবার) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রতিরোধ আকাশ থেকে এমন ঝড় নামিয়েছে, যাতে শত্রুদের চিৎকার শোনা গেছে। ভারত এখন বুঝেছে পাকিস্তান কতটা প্রস্তুত।”
এই ঘটনাপ্রবাহ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও উত্তপ্ত করেছে এবং সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। যদিও ভারত দাবি করছে তারা সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ও দায়িত্বশীল অবস্থানে রয়েছে, পাকিস্তানের পাল্টা পদক্ষেপ সেই তত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।