বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের (Awami League) কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল (Randhir Jaiswal) বলেন, “কোনো সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ না করেই এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর যেভাবে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে, তা একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমাদের স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন করে।”
এই পরিস্থিতিতে ভারত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে দেশটিতে যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের আহ্বানও জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন হোক, যা হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সব পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত আগস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় রকমের পরিবর্তনের পর থেকেই ভারত বারবার এই নির্বাচন দাবির কথা তুলে ধরছে। ভারত মনে করে, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
ভারতের এই অবস্থান স্পষ্টতই আঞ্চলিক কূটনৈতিক ভারসাম্যের ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট এবং বড় দলের নিষিদ্ধ হওয়ার প্রেক্ষিতে ভারতের এমন প্রতিক্রিয়া দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বাড়তি উত্তেজনা তৈরি করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।