গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন (Rashed Khan) বৃহস্পতিবার রাতে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে নাম না করে তীব্র সমালোচনা করেছেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির প্রতি। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন—”ঐক্যের ১২টা বাজিয়ে এখন ক্ষমা চাও কেন?” যদিও তিনি সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি, তবে রাজনৈতিক মহলে পোস্টটি নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাশেদ খাঁন লিখেছেন, “পদত্যাগ করার পরেই জনগণ ক্ষমার চিন্তা করবে। দেশের ঐক্যের ১২টা বাজিয়ে এখন ক্ষমা চাও কেন?” এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে, যার উদ্দেশে বলা হয়েছে, তার অতীত রাজনৈতিক অবস্থান কিংবা সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে লেখকের।
তিনি আরও লিখেছেন, “গণঅভ্যুত্থানের সকল স্টেকহোল্ডারকে মাইনাস করে মাস্টারমাইন্ড ও উপদেষ্টা হওয়ার মধ্যেই যে সকল সুখ থাকে না, তা নিশ্চয়ই তুমি বুঝতে পারছো। নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে তুমি পুরোপুরি ধ্বংস করেছ।”
এই অংশে যে রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা বা একক আধিপত্যের সমালোচনা রয়েছে তা স্পষ্ট। তিনি বলেন, “তুমি নাকি মানুষকে দেশ চালাতে ও রাজনীতি করতে দিবা না! তোমার অহংকার, ঔদ্ধত্য শুধু তোমাকে নয়, তোমাদের ফাঁদে যারা পড়েছে, তাদের অবস্থাও তোমার মতো হবে।” এটি এক ধরনের হুঁশিয়ারি বা ভবিষ্যদ্বাণী, যেখানে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ক্ষমতার দম্ভ শেষ পর্যন্ত পতন ডেকে আনে।
পোস্টের শেষ দিকে রাশেদ লিখেছেন, “একটা গণঅভ্যুত্থানের পরে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ না রেখে অনৈক্য ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ভেবেছিলে একলাই হিরো হবা, আজীবন দেশের ক্ষমতা ধরে রাখবা। কিন্তু এই দেশের জনগণ যেমন মাথায় তুলে নাচতে জানে, তেমনি ধপাস করে ফেলতেও জানে।”
এই বক্তব্যে রয়েছে গভীর রাজনৈতিক রূপক। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, জনগণের ভালোবাসা যেমন কারো রাজনৈতিক উত্থান ঘটাতে পারে, তেমনি তাদের বিরাগই হতে পারে চরম পতনের কারণ।
যদিও পোস্টে কোনো নির্দিষ্ট নাম নেই, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এটি হয়তো কোনো সময়ের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সঙ্গীর প্রতি রাশেদ খাঁনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই বক্তব্য বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ সৃষ্টি করেছে।