জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অংশগ্রহণ মিলিয়ে গেছে—আক্ষেপ ফরাসি রাষ্ট্রদূতের

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে রাজপথে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া তরুণী ও মধ্যবয়সী নারীরা এখন কোথাও দৃশ্যমান নন—এমন আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন ম্যারি মাসদুপুই (Marie Masdupuy), বাংলাদেশের ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের সময় নারীসমাজের সাহসিক উপস্থিতি সবার দৃষ্টি কাড়লেও পরবর্তীতে ক্ষমতার কাঠামো কিংবা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাদের স্থান হয়নি। রাষ্ট্রদূতের ভাষায়, “এটি দুঃখজনক এবং হতাশার।”

রোববার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে খান একাডেমি আয়োজিত জাতীয় সেমিনার ‘ভয়েসেস ফর চেঞ্জ’ কর্মসূচির অধীনে অনুষ্ঠিত জুলাই আপরাইজিং অ্যান্ড দ্য ইন্টারপ্লে বিটউইন পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট অব উইমেন শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে গেস্ট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন নওশীন খান (Naushin Khan), যিনি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক (World Bank)-এর রিসার্চ অ্যানালিস্ট ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর। তার উপস্থাপিত প্রবন্ধে তিনি তুলে ধরেন, বাংলাদেশের নারীরা এখনো পররাষ্ট্রনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা অন্যান্য এক্সিকিউটিভ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গাগুলোতে খুব কমই দেখা যায়। তার মতে, এই বৈষম্য দূর করতে হলে ‘প্রো-অ্যাক্টিভ’ নীতির প্রয়োজন।

নওশীন খান আরও বলেন, নারীদের কেবল সম্পদে প্রবেশাধিকার নয়, বরং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করাও জরুরি। বিশেষ করে নারী মাইগ্র্যান্ট শ্রমিকদের জন্য যেসব খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি, সেখানে দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি। পাশাপাশি নারীদের নেতৃত্ব বিকাশের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করার আহ্বান জানান তিনি।

সেমিনারে রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিচিত অনেক মুখও উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান (Dr. Abdul Moyeen Khan), সেলিমা রহমান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিনসহ আরও অনেকে। আলোচনা পর্বে বক্তারা নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে তুলে ধরেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *