বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের (Dr. Syed Abdullah Muhammad Taher) বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জাতীয় স্বার্থে একে বহাল রাখা উচিত। শুক্রবার (২৩ মে) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢাকাস্থ পটুয়াখালী ফোরামের প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তাঁর মতে, “অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আমাদের সবারই প্রত্যাশা। এটি নিশ্চিত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা পুনর্গঠনে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রয়োজন।”
ডা. তাহের আরো বলেন, “বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও রূপরেখা দিলে এই সংশয় দূর হবে। সন্দেহ ও অনাস্থা কাটিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ার দিকেই যেতে হবে।”
অনুষ্ঠানে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ (Dr. Shafiqul Islam Masud) বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে চান—এই খবর আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এর দায় শুধু প্রশাসনের নয়, রাজনৈতিক দলগুলোকেও ভাগ করে নিতে হবে।” তিনি আরো যোগ করেন, “বর্তমান সরকারের কেউ কেউ হয়তো সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহে পদত্যাগের কথা ভাবছেন। অথচ নির্বাচন ব্যর্থ হলে সেটি কেবল নির্বাচন কমিশনের নয়, রাজনৈতিক দলগুলোরও ব্যর্থতা হবে। আর রাজনৈতিক ব্যর্থতা মানেই দেশের ব্যর্থতা—আমরা তা হতে দিতে পারি না।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট ড. মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, সাবেক আমির অধ্যাপক শাহ আলম, পটুয়াখালী-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাইউম, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মু. রাকিবুল ইসলাম, বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক মু. আব্দুল হক, ডা. সুলতান আহমদ, শহিদুল ইসলাম কায়সারী এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
এই প্রীতিসভাটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার প্রয়োজনীয়তার প্রতি নতুন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। স্পষ্ট রোডম্যাপ এবং পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব বলে মত দিয়েছেন নেতারা।