নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ফরাজীকান্দা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় আটক হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য রজনী আক্তার তুশি (Rajoni Akter Tushi)। শনিবার (২৪ মে) রাত ১০টার দিকে পুলিশ তাকে আটক করে।
ঘটনার সময় পুলিশ আসতেই তুশি উচ্চস্বরে স্লোগান দেন—‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। কিন্তু সেই স্লোগান উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে পারেনি। বরং, তারা উত্তরে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে এবং তুশির দিকে জুতা ছুড়ে মারে। পুলিশের গাড়িতে তোলার সময়ও একদল জনতা তার দিকে তেড়ে আসে, মারধরের চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানান, তুশি ফরাজীকান্দা এলাকার রুবেল মিয়ার বাড়িতে আত্মীয়তার সূত্রে গত তিন মাস ধরে ভাড়া থাকতেন। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ খবরে জানা যায় যে, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এই নেত্রী ওই বাড়িতেই অবস্থান করছেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি (BNP) নেতাকর্মীসহ স্থানীয়রা বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলেন এবং বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তুশি নিজেই দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। কিন্তু এতে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জুতা নিক্ষেপ করে।
আটকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রজনী তুশি বলেন, “আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, থানায় যেতে রাজি আছি। কিন্তু আমাকে কেন জনতার হাতে হেনস্থার শিকার হতে হলো?”
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান বলেন, “আওয়ামী লীগ (Awami League) এর একজন নেত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং সদর থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে। সেই থানাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, তারা এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও, আওয়ামী লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে এমন জনরোষ এবং পুলিশ হেফাজতে যাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়।