গণঅধিকার পরিষদ (Gono Odhikar Parishad)-এর শীর্ষ নেতা তারেক রহমান (Tarek Rahman) এক ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট ভাষায় রাজনৈতিক ব্যঙ্গের তীর ছুড়েছেন। পোস্টে তিনি পরোক্ষভাবে ‘ফেরেশতা’ শব্দের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন কথিত নিরপেক্ষ ব্যক্তি ও বর্তমানে আলোচনায় থাকা সম্ভাব্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)-কে।
পোস্টে তারেক লেখেন: “দুই কুকুর নির্বাচিত হতে চায়, এ জন্য একজন ফেরেশতাকে দায়িত্ব দিল, তুমি আমাদের মাঝে নির্বাচনটা আয়োজন করে দাও। এখন ফেরেশতা কয়, সে নিজেও নির্বাচন করবে।”
এই বাক্যাংশে রাজনৈতিক দুই প্রধান শক্তিকে ‘কুকুর’ আখ্যা দিয়ে, ড. ইউনূসকে সেই ‘ফেরেশতা’ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন যিনি নাকি নিজেই এখন রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান।
তারেক আরও লেখেন, “এখন যারা নির্বাচন করে তারা তো কুকুর। ফেরেশতার এখন কুকুর হওয়ার সাধ জাগছে।”
তার ভাষ্য অনুযায়ী, যারা আগে নিরপেক্ষ ভূমিকা নেয়ার কথা বলতেন, তারা এখন নিজেরাই রাজনৈতিক ক্ষমতার আশায় নেমেছেন।
তারেক দাবি করেন, “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য আমি সেই কুকুর যে শেখ হাসিনার সময়ে হতে ঘেউ ঘেউ করে আসছি। ফেরেশতার সময়েও ঘেউ ঘেউ করতে হচ্ছে।”
এই পোস্টের সবচেয়ে তীব্র অংশে তিনি লিখেছেন, “ফেরেশতাদের আমরা অধিকার এর কথা কইলে, তারা এখন আমাদের দিকে আমাদের ভাষায় ঘেউ ঘেউ করে।”
এই ব্যঙ্গাত্মক ও ক্ষোভমিশ্রিত পোস্টে তারেক রহমান শুধু ক্ষমতাসীন সরকারকেই নয়, বরং তৃতীয়পক্ষীয় বিকল্প হিসেবে যাদের নিয়ে আলাপ চলছে—তাদেরকেও আক্রমণ করেন। তার এই বক্তব্য ইঙ্গিত করছে, রাজনৈতিক মধ্যস্থতার নামে যাদের সামনে আনা হচ্ছে, তারা আদৌ নিরপেক্ষ নন বরং ক্ষমতার লোভে নিজেরাই রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন।
পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, ব্যক্তিগত আক্রমণের ভাষা রাজনীতির শালীনতাকে ব্যাহত করে। অন্যদিকে, তারেকের সমর্থকেরা এটিকে ‘উদ্ভুত পরিস্থিতির সাহসী ভাষ্য’ হিসেবে দেখছেন।