১৩ বছর পর কারামুক্ত হলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম (ATM Azharul Islam)। খালাস পাওয়ার একদিন পরই বুধবার (২৮ মে) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেল থেকে তিনি মুক্তি পান। মুক্তি পেয়েই রাজধানীর শাহবাগে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত শুকরানা সমাবেশে যোগ দেন তিনি।
সমাবেশস্থলে পৌঁছালে জামায়াতের বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান (Dr. Shafiqur Rahman) সহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। তার মুক্তিকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ছিলো উচ্ছ্বাস ও আবেগময় পরিবেশ।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক যুগান্তকারী রায়ে এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে তাকে খালাস দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন (Syed Mahmud Hossain)-এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালত রায়ে উল্লেখ করে, অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতার না থাকলে তাকে মুক্তি দিতে হবে।
রাতেই রায়ের অনুলিপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের বিএসএমএমইউ-তে পাঠানো হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন আজহারুল ইসলাম।
এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ জানান, রাতে দেরিতে কাগজপত্র পৌঁছানোয় নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে রাতেই মুক্তি দেওয়া হয়নি। যাচাই-বাছাই শেষে সকালে হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এই রায় ও মুক্তির মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। সমাবেশে দলটির পক্ষ থেকে এটিএম আজহারকে ‘সত্যের বিজয়ের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তবে, বিচার বিভাগের এ রায় নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।