জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (Jatiyatabadi Chhatra Dal)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন আয়োজিত এক সমাবেশে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে কাউকে শান্তিতে থাকতে দেব না।’
‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ শিরোনামে এই কর্মসূচিতে তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ হত্যাকাণ্ডের পর ডিএমপি কমিশনার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে শাহরিয়ারের পরিবার এবং ছাত্রদল। রাকিব বলেন, “আমরা চাই এই হত্যার প্রকৃত কারণ প্রকাশ হোক এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হোক।”
শাহরিয়ার হত্যার প্রসঙ্গ টেনে রাকিবুল বলেন, “বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আমাদের বহু নেতা-কর্মী গুম ও খুন হয়েছে। এর বিচার আজও হয়নি। আমরা চাই—ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার হোক। না হলে প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)-এর বিরুদ্ধেও আমরা আন্দোলনের ডাক দেব।”
সমাবেশে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের ওপর নির্যাতনের অভিযোগও তুলে ধরেন ছাত্রদল সভাপতি। তিনি বলেন, সরকারি তিতুমীর কলেজে ‘গুপ্ত সংগঠনের’ অন্তত ৮ থেকে ১০ জন সদস্য অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ওপর দফায় দফায় হামলা চলছে।
এই প্রেক্ষাপটে রাকিবুল ইসলাম স্পষ্ট করে দেন, ছাত্রদলের সহ্যশক্তির সীমা আছে। নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকলে তারা আর চুপ থাকবে না। বক্তৃতার একাধিক স্থানে তিনি বলেন, “আমরা কোন অবস্থায় দুর্বল নই। ছাত্রদল সংগঠন হিসেবে প্রমাণ করেছে—দমন-পীড়নের মুখেও অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারাও। তারা সমস্বরে সরকারের বিরুদ্ধে ‘দমনমূলক শাসনের’ অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
