ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগে দায়িত্ব পালনের সময় কোনো ধরনের ফেসবুক বা ইউটিউব বুস্টিংয়ে অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব (Fayez Ahmad Tayyeb)।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমার এবং সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam)-এর দায়িত্বকালীন সময়ে ফেসবুক পেজ কিংবা ইউটিউব প্রমোশন বা বুস্টিংয়ে এক টাকা কিংবা এক ডলারও খরচ করা হয়নি। দায়িত্ব নিয়ে এ কথা বলতে পারি।”
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, “ডিজিটাল ভেরিফিকেশন এক্সপার্টরা চাইলেই এই তথ্য যাচাই করতে পারেন। মিথ্যা তথ্য না ছড়িয়ে, প্রয়োজনে তাদের সহায়তা নিন।”
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, অতীতে তারাও আওয়ামী লীগ (Awami League) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফেসবুক পেজ থেকে বুস্টিংয়ের মোট খরচ বের করেছেন। তবে তার ভাষ্য অনুযায়ী, কিছু বেসরকারি গ্রুপ নিজেদের পেইজে লাইক বাড়াতে কিংবা ভবিষ্যতে বিপণনে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগতভাবে বুস্টিং চালাতে পারেন—এগুলোতে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তিনি বলেন, “আমাদের সময়কার কোনো প্রকল্প বা বাজেট থেকে এসব কাজের জন্য এক পয়সাও বরাদ্দ হয়নি। কারও ভুল বোঝাবুঝি থাকলে দয়া করে প্রকৃত তথ্য যাচাই করে নিন।”
তার এই বক্তব্যে মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ধরনের সন্দেহ বা গুজবের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সতর্ক করে বলেন, “এসব বিষয়ে নাগরিক সমাজ কী ভাবছে, আমরা সেই মতামতও শুনতে আগ্রহী।”
সামগ্রিকভাবে, সরকারের প্রযুক্তিনির্ভর যোগাযোগের এই অংশে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাওয়ার এক প্রচেষ্টাই ফুটে উঠেছে এই বক্তব্যে।
