মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ (Nagad)’ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ সামনে আসার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
শুক্রবার (৩০ মে) বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব (Foyez Ahmad Tayyeb)।
তার পোস্টে তিনি বলেন, “টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়ার পর আমি নগদের কাছে পরিচালন ব্যয় ও যাবতীয় বিলসহ দুই মাসের হিসাব জানতে চেয়েছিলাম। তখন তারা জানায়, সব মিলিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলন করা হয়েছে আনুমানিক ৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোম্পানির নিয়মিত পরিচালন ব্যয়, বেতন, ভাড়া, ভেন্ডর বিল—সবই অন্তর্ভুক্ত।”
তিনি আরও লেখেন, “অতএব, অভিযোগে যে ১৫০ কোটির অঙ্ক এসেছে, তা আমি বুঝতে পারছি না। মানবজমিনকে অনুরোধ করব তারা যেন অভিযোগের পক্ষে যথাযথ প্রমাণ তুলে ধরে এবং টাকার ব্যবহারের খাতগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে।”
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও জানান, বিষয়টি শুধু কোনো একক ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল নয়। নতুন সিইওকে ত্রিপাক্ষিক ফরেনসিক অডিটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, ১১ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত সময়কাল ছাড়া বাকি সময় নগদের নিয়ন্ত্রণ ছিল সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank)-এর অধীনে।
উল্লেখ্য, আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বেহাতের অভিযোগ সামনে আসতেই নাগদে আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও পর্যবেক্ষণ চলছে বলেই ইঙ্গিত মিলছে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্যে।