বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো বহাল রয়েছে মালিকানা, মিথ্যাচার ও বিভেদের সংস্কৃতি—আর এই ধারাকে ‘শেখ হাসিনার সময়ের রাজনীতির’ ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল (Asif Nazrul)। আজ শুক্রবার (৩০ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক খোলামেলা স্ট্যাটাসে তিনি প্রকাশ করেন তার হতাশা ও অসহায়তা।
স্ট্যাটাসে ড. নজরুল লেখেন, “দুঃখ লাগে, যখন দেখি শেখ হাসিনা এখনো আছে দেশে অনেকাংশে।” এরপর তিনি ব্যাখ্যা করেন, শেখ হাসিনা মানে মালিকানার রাজনীতি, মিথ্যাচার, ট্যাগ লাগানো আর বিভেদ সৃষ্টির রাজনীতি—এবং সেই সংস্কৃতি এখনো প্রবলভাবে রয়ে গেছে দেশের রাজনীতিতে।
তিনি জানান, এক সময় তিনি নাগরিক সমাজে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন এবং এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু এখন সেই অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে যেতে হয়েছে তাকে। “আমি দীর্ঘদিন নাগরিক সমাজে কাজ করতাম। সোচ্চারভাবে এসবের বিরুদ্ধে বলতে পারতাম। এখন না পারি বলতে, না পারি খুব একটা কিছু করতে!”—এই বাক্যে উঠে আসে একধরনের ব্যক্তিগত অসহায়তার সুর।
তবে হতাশার মাঝেও সতর্ক বার্তা দেন তিনি। তার ভাষায়, “তবু বলি, সবার যদি সুমতি না হয়, খারাপ সময় আসবে সামনে।” অর্থাৎ রাজনীতিতে যদি নৈতিকতা ও বিবেক ফিরে না আসে, তাহলে সামনে আরও অস্থিরতা ও সংকট অপেক্ষা করছে বলেই আশঙ্কা তার।
ড. আসিফ নজরুলের এই পোস্টটি ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যারা বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে বিকল্প কণ্ঠ ও দৃষ্টিভঙ্গি খোঁজেন, তাদের কাছে তার এই বক্তব্য এক ধরনের সতর্ক বার্তা হিসেবেই প্রতিফলিত হয়েছে।