আওয়ামী ইউপি চেয়ারম্যানের কক্ষের তালা ভেঙে নতুন তালা ঝুলিয়ে দিল বিএনপি

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে স্থানীয় বিএনপি (BNP) নেতাকর্মীরা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আনিছুর রহমান–কে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তাঁর কক্ষে তালা ভেঙে নতুন তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিও জানিয়েছে দলটি।

শনিবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জড়ো হন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামছুল আলম বুলবুল, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন এবং উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদুর রহমান অন্তু।

বিক্ষোভকারীরা প্রথমে চেয়ারম্যানের নামফলক ভাঙেন এবং পরে কক্ষের তালা খুলে নতুন তালা লাগিয়ে দেন। একপর্যায়ে তাঁরা দাবি জানান, চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানকে অপসারণ করে এখানে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হোক।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, “ত্রিমোহিনীতে একজন দলবাজ আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ চেয়ারম্যান বসে আছেন। আমরা চাই জনগণের দাবি অনুযায়ী তাঁকে অপসারণ করে প্রশাসক বসানো হোক।” তিনি জানান, তালার চাবি স্মারকলিপি সহ উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।

চেয়ারম্যানের ‘দোষ’ কী?

এস এম আনিছুর রহমান বলেন, “আমি তো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকেও হারিয়েছি। এর আগেও ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চেয়ারম্যান ছিলাম।” তিনি দাবি করেন, তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই বিএনপি এই অশোভন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। জানা যায় , বিদ্রোহী প্রার্থি হিসাবে নির্বাচন করলেও তিনি মুলত আ’লীগের রাজনীতির সাথেই জড়িত।

আনিছুর রহমান আরও বলেন, “শনিবার পরিষদ বন্ধ ছিল। এই সুযোগে ওরা এসে তালা ভেঙেছে। আমি ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা বাবু বলেন, “আমি সেখানে গিয়েছিলাম শুধু নিশ্চিত করতে যেন কোনো সরকারি স্থাপনায় ক্ষতি না হয়, বিশৃঙ্খলাও যেন না হয়।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *