দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে রাজনৈতিক দল হিসেবে পুনরায় নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-e-Islami)। রোববার সকালে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে, যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
চার বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত এই আপিল বেঞ্চ জামায়াতের দায়ের করা নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে রায় প্রদান করেন। এ রায়ের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের আগের সিদ্ধান্তটি বাতিল হয়ে যায় এবং দলটি আবারও রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধে দলের শীর্ষ নেতাদের জড়িত থাকার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছিল। এরপর থেকে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। দলটির পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয় এবং সেই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলো আজ।
রায় ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং এটিকে “আইনের বিজয়” হিসেবে অভিহিত করেন। দলের মুখপাত্র জানান, এ রায় গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতি।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায় দেশে রাজনৈতিক মেরুকরণে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। ইতোমধ্যেই কিছু রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শুধু জামায়াতের জন্য নয়, দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ এক মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।