ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ (Nagad)-এ অনিয়ম করে নিজের স্ত্রীকে উচ্চ পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (Anti-Corruption Commission)। এ অভিযোগে অভিযুক্ত আতিক মোর্শেদ ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে আগামী সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আতিক মোর্শেদের স্ত্রী জুঁইকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে—এ বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ হাতে এসেছে।
উল্লেখযোগ্য যে, আতিক মোর্শেদ হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব (Fayez Ahmad Tayyeb)-এর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। এর আগে তিনি সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামেরও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।
সম্প্রতি আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে নগদের ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে অভিযোগ ওঠে, তিনি কোনো নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা না হয়েও নগদের অফিসে নিয়মিত বসতেন এবং নিজের স্ত্রীসহ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উচ্চপদে নিয়োগ দিতেন।
এই অভিযোগ ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষিতে রোববার নগদের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন। সেই অভিযানে প্রাপ্ত দলিলপত্র যাচাই করে দেখা যায়, জাকিয়া সুলতানা জুঁইয়ের নিয়োগে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। দুদক বলছে, এটি ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে স্বজনপ্রীতির একটি পরিষ্কার উদাহরণ।
উল্লেখ্য, এসব অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে আসে মানবজমিন পত্রিকার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে নড়াচড়া শুরু হয়।
আতিক মোর্শেদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া, আর্থিক অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়গুলো আরও স্পষ্টভাবে খতিয়ে দেখবে দুদক।