চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মারার ঘটনার পর তীব্র জনরোষের মুখে পড়া জামায়াত-ই-ইসলামী কর্মী আকাশ চৌধুরীকে শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বহিষ্কৃত এ কর্মীকে রোববার (১ জুন) বিকেলে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম (Abdul Karim)।
গ্রেপ্তারকৃত আকাশ চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পৌরসভা এলাকায়। তার পিতার নাম নেছার আহমদ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ঘটনায় করা দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩০ মে রাতে জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নারীকে লাথি মারার অমানবিক ঘটনার কারণে আকাশ চৌধুরীকে সংগঠন থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। জামায়াতের এই পদক্ষেপ তখন সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত হলেও সমালোচনাও কম হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২৮ মে বিকেলে, যখন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট (Democratic Student Alliance) এ টি এম আজহারুল ইসলাম (ATM Azharul Islam) এর খালাসের প্রতিবাদে এক কর্মসূচির আয়োজন করে। এই কর্মসূচি চলাকালে হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয় ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ নামে একটি পক্ষ। উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ তখন উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করে। কিন্তু এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এই সময়ই ঘটে যায় বিতর্কিত ঘটনাটি—এক নারী ও আরেকজনকে পেছন থেকে লাথি মারেন আকাশ চৌধুরী। সেই মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে দেশজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে।
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় আকাশ চৌধুরীসহ দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও অজ্ঞাতপরিচয় ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে দ্রুত বিচার আইনে, যাতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।